জাহাজ কেনো ভাসে? প্লেন কিভাবে উড়ে? মেঘ কি দিয়ে বানানো? গাড়ি কিভাবে চলে? ইত্যাদি ইত্যাদি…
আপনার বাসায় যদি ছোট একজন বাচ্চা থাকে তাহলে আপনাকে হয়তো প্রতিদিন এমন হাজারটা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। হবেই বা না কেনো, কারণ বাচ্চাদের জানার পরধি যে অপরিসীম। কিন্তু আপনি একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে বাচ্চাদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই আগ্রহটা ধীরে ধীরে কমে যায়। তাদের এই আগ্রহটা যেন কমে না যায় এবং তাদের ছোট বেলার অনুসন্ধিৎসু মনের আকুলতাকে কাজে লাগিয়ে তাদেরকে ছোট বেলা থেকেই বিজ্ঞান মনষ্ক করে গড়ে তোলার পেছনে STEM(Science, Technology, Engineering & Math) Education এর বেশ বড় ভূমিকা রয়েছে।
আসুন যেনে নেয়া যাক STEM Education কিভাবে বাচ্চাদেরকে সৃজনশীল হতে সাহায্য করে…
সমালোচনামূলক চিন্তা করতে ও সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে…
যেহেতু ০-৫ বছর পর্যন্ত সময়ে বাচ্চাদের মস্তিষ্ক গঠন ও বিকাশের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময় তাই এই সময়ে তাদেরকে বিজ্ঞান মনষ্ক করে তোলার সবচাইতে উপযুক্ত সময়। বর্তমানে প্রযুক্তির কল্যানে আমাদের বিশ্ব খুব দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে এবং এই পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে প্রযুক্তি এবং প্রকৌশল সম্পর্কে ধারনা থাকা একান্ত বাঞ্ছনীয়। তাই ছোট বেলা থেকেই বাচ্চাদেরকে বিভিন্ন STEM ভিত্তিক কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত রাখতে হবে যেন তারা বড় হয়ে তাদের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তা চেতনায় অনুরাগী হয়ে ওঠে।
গানিতিক দক্ষতা বৃদ্ধি করে…
এখন স্কুল গুলোতে বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদের বিভিন্ন STEM ভিত্তিক কর্মশালা আয়োজন করা হয়ে থাকে। এ সকল কর্মশালায় অংশগ্রনের মাধ্যমে বাচ্চারা খেলার মাধ্যেমে বিভিন্ন STEM ভিত্তিক কর্মকান্ডের সাথে জরিত থাকে যা তাদেরকে ছোট বেলা থেকেই গানিতিক যুক্তি ও সমস্যা সমাধানে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখে।
বাচ্চাদেরকে জ্ঞান আহরনে অনুরাগি করে তুলতে সাহায্য করে…
ছোটদের ভেতরে জানার প্রবনতা খুব বেশি থাকে এবং STEM ভিত্তিক কর্মকান্ড তাদেরকে বিভিন্ন মজার মজার পরিক্ষার মাধ্যমে তাদের এই সকল প্রশ্নের উত্তর নিজে থেকেই বের করতে সাহায্য করে। এতে করে বাচ্চারা তাদের ভিতরে থাকা জানার ইচ্ছাকে আরো প্রবল করে গড়ে তুলে এবং ধীরে ধীরে কিভাবে নিজে নিজে শিখতে হয় তা শিখে ফেলে।